প্রশাসনিক নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাধ‍্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন চটুল নাচের আসর বসলো বাঁকুড়ার ইন্দাস থানা এলাকায়

25th February 2020 বাঁকুড়া
প্রশাসনিক নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাধ‍্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন চটুল নাচের আসর বসলো বাঁকুড়ার ইন্দাস থানা এলাকায়


কালীপুজো উপলক্ষে বিগত তিনদিন ধরে চলছে নানা অনুষ্ঠান । একদিকে চলছে মাধ‍্যমিক পরীক্ষা , অন‍্যদিকে উচ্চ মাধ‍্যমিক পরীক্ষাও আসন্ন তারমধ‍্যেই তীব্র স্বরে বক্স বাজিয়ে চলল চটুল নাচের আসর । স্বল্পবসনা নারীদের উদ্দাম নৃত‍্য এর ছবি এবং ভিডিও মোবাইল বন্দী করে ছড়িয়েও পড়ছে হু হু করে । নানা বয়সী মানুষজনের ভীড়ে খোলা মঞ্চে গভীর রাত পর্যন্ত চললো নাচের আসর । অনেকেই আবার স্বল্পবসনা নারীদের দিকে বাড়িতে দিচ্ছেন টাকার নোট । রাত যত গভীর হচ্ছে তত ই বাড়ছে নাচের উদ্দমতা । স্থানীয় প্রশাসনের কোনো হেলদোল নেই । পুলিশের কাছে কেউ লিখিত বা মৌখিক কোনো অভিযোগ না করায় পুলিশ ও দেখেও দেখেননি উদ্দাম নাচ । নাম প্রকাশ‍্যে অনিচ্ছুক ব‍্যক্তির অভিযোগ , পুলিশের সাথে রফা করেই এ ধরনের আয়োজন করা হয়েছে । প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেখানে নির্দেশ রয়েছে মাধ‍্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন কোনভাবেই লাউডস্পিকার বাজানো চলবে না , সেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা তীব্র স্বরে লাউডস্পিকার বাজিয়ে যুবতীদের উদ্দাম নৃত‍্য চলে কিভাবে ? রাস্তার উপর কোনো পন‍্য বোঝাই ট্রাক উল্টে গেলে বা ট্রাক আটকে তোলা আদায় করতে পুলিশের যে তৎপরতা দেখা যায় এক্ষেত্রেও তৎপরতা দেখিয়েই পুলিশ ঠুঁটো জগন্নাথ বলে মত বিজেপি নেতৃত্বের । মুখ‍্যমন্ত্রী সুস্থ সংস্কৃতির ঢাক পেটাচ্ছেন আর পাড়ায় পাড়ায় প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন মদতে বেলেল্লাপনা চলছে বলে গেরুয়া শিবিরের মত । যেভাবে গভীর রাত পর্যন্ত এই নাচের আসর বসছে তার উপর তীব্র শব্দের দাপট তাতে সমস‍্যায় পড়ছেন ওই এলাকার মাধ‍্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সহ সাধারন মানুষজন । পুলিশের কাছে কোনো অনুমতি না নিয়েই নাকি এ ধরনের আসর চলছে । এলাকার পঞ্চায়েত ও এ বিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন বলে অভিযোগ । 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।